শীতকালে কেনো বাড়ে শ্বাসকষ্ট
এসেছে শীতের মৌসুম ডিসেম্বর মাস। শীত না আস্তে যেন বেড়েছে নানান রোগের সমাহার।বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ কমছে তার মাঝে কমছে তাপমাত্রা ও। শীত এলে যেমন বাড়ে বিয়ের বাদ্য তেমনি বাড়ে মানুষের শ্বাসকষ্ট।আচ্ছা শীতে কেন বাড়ে শ্বাস কষ্ট..?কী করে বা এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাবেন...?
শীতকালে শ্বাসকষ্ট বাড়ার পিছনে কয়েকটি কারণ রয়েছেঃ
১ঃ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। বারে ধুলো বালির পরিমাণ। ধুলো বালি ফুসফুসের এর সমস্যা বড়ায়।
২ঃ বাতাসে ফুলের রেণু ও শীতকালে এর সময় প্রচুর পরিমাণে উড়ে । ফুসফুসে ঢুকে সেগুলো অ্যালার্জির সমস্যা বাড়িয়ে দেয় এবং শ্বাসকষ্টের পরিমাণ বেড়ে যায়। এবং বৃদ্ধি পায় শ্বাসকষ্ট।
৩ঃ শীতকালে বেড়ে যায় বায়ু দূষণের পরিমাণ ও।যা শ্বাসকষ্টের সবচেয়ে বড় ক্ষতিকর একটি কারণ।
কী করে এই সমস্যা থেকে বাঁচবেন...?
১ঃ বাড়ির বাইরে গেলে অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করুন।যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়ে,বিশেষ করে তারা এই সময় মাক্স ব্যবহার করলে কিছুটা মুক্তি পেতে পারে।
২ঃ শীতকালের শুধু বাড়ির বাহিরে নয়, ঘরের ভেতরে ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। না হলে ঘরের ধুলা বালি ও শ্বাসকষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
৩ঃ ঘরের ধুলো বালির মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ হলো শুষ্ক ত্বকের গুঁড়ো।শীতকালের সকলেরই ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত ময়শ্চারাইজার মাখলেম ত্বকের শুষ্কতা কমবে অনেকাংশ।
৪ঃ যাদের ধূমপান করার বদ অভ্যাস হয়েছে। তারা শীতকালে অবশ্যই ধূমপান এড়িয়ে চলতে হবে। আর যাদের আগে থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তারা শীতকালে ধূমপান না করলেও ভালো। কারণ শীতকালে ধুমপান করলে ফুসফুস এর উপর চাপ পড়ে। তাই অবশ্যই আপনাকে এই বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে শীতকালে।
চিকিৎসক দের মতে শীতকালের শ্বাসতন্ত্রে জীবাণু তে আক্রান্ত হয় বেশি। মূলত তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে শরীর হারায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায়, বাড়ে শ্বাসকষ্ট। প্রতি বছর শীতে শিশুদের ৮০% এবং বড়দের ৪০% বাড়ে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায়। শীতকালে বাতাসের ধুলো বালি এর পরিমাণ বেশি থাকায় বাড়ে ছোট, বড় সকলের হাঁচি, কাশি এবং এজমা জাতীয় সমস্যা। কিছু বাড়তি সতর্কতাঃ ও প্রস্তুতি নিলে কিন্তু মিলবে শীতের এসব রোগ থেকে মুক্তি। যাদের রয়েছে হাঁপানি বা অ্যাজমার সমস্যা তাদের উচিত শীত উপভোগ না করা। এবং ভালোভাবে গরম কাপড় পড়া এবং একে সাথে ইস্কাপ বা টুপি ব্যাবহার করা। মুখ নিয়ে শ্বাস নেওয়ার পরিবর্তে নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস করতে হবে। কারণ নাক দিয়ে শ্বাস নিলে দোয়া ও ধুলা ফিল্টার হয়ে বের হয়ে আসে। এড়িয়ে চলতে হবে ধূমপান এবং মশার কয়েল কিংবা ধুপ দুলা থেকে এবং রান্না ঘরের দোয়া থেকে দূরে থাকুন এতে শ্বাসকষ্টের যুকি কমবে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে ঘর থেকে কোথাও গেলে ইনহেলার দুই চাপ দিয়ে ঘর থেকে বেড় হবেন।এবং বেশি সময় ধরে কোথাও গেলে সাথে নিয়ে যাবেন ইনহেলার। যারা সুস্থ সবল মানুষ তাদের জন্য এই শীত হোক আনন্দের।
Post a Comment