আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারীতা


 আমলকি এক প্রকার ভেষজ ফল। আমলকি কে সংস্কৃত ভাষার নাম হলো : আমালিকা। আমলকি এর ইংরেজি নাম : Aamla বা Indian gooseberry. আমলকি গাছের বৈজ্ঞানিক নাম গুলো হলো : Phyllanthus  emblica বা Emblica offcinalis. আমাদের দেশ সহ ভারতীয় উপমাহাদেশে প্রায় ৫০০০ বছরের বেশি সময় সময় ধরে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আমলকির স্বাদ প্রথমে কষটে লাগে। কিন্তু খাওয়া শেষ করে যদি পানি খান তা হলে মিষ্টি লাগে।আলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকি পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুন এবং ১০ গুন ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকি কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুন বেশি।এবং আপেলের চেয়ে ১২০ গুন বেশি। কলার চেয়ে ৬০ গুন বেশি। এবং আমের চেয়ে ২৪ গুন বেশি ভিটামিন সি রয়েছে পুষ্টি বিজ্ঞানিদের মতে। ১০০ গ্রাম তাজা আমলকি তে  থাকে প্রায় ৪৭০ থেকে ৬৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি,এই ফলকে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে দেখানো হয়েছে । আমলকি তে শুধু ভিটামিন সি থেকে তাই নয়। এতে আরো থাকে ফ্লেভোনয়েড, ট্যানিন এবং খনিজ পদার্থ।

এখন আমরা আমলিকির পুষ্টি গুনা গুন সম্পকে জানবো? 

১: চুলের যত্নে আমলকি ঃ  আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে।  এবং আমলকী চুলে পরিচর্যা ক্ষেতে গুরুত্ব ভূমিকা পালন করে। আমলকির রসে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড এবং প্রোটিন যা চুলের পুষ্টটি যোগায়। আমলকি চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে আমলকী খুশকীর সমস্যা দূর করে। এবং এটি পাকা চুল প্রতিরোধ করে। এবং চুুুুুলের গোড়া শক্ত করে।

২: চোখের যত্নে ঃ  আমলকি চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাও আমলকি চোখের প্রদাহ, চোখের চুল কানি থেকে বা পানি পড়া সমস্যা দূর করে। আমলকিতে রয়েছে,  ফাইটো ক্যামিকাল যা চোখের সংঙ্গে জরি ও ডিজেনারিশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৩: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঃ আমলকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। কপ,  অনিন্দ্র,  ভুমি,  বেথা বেদনায় আমলকি অনেক উপকারি। কাইটিস ও এজমার জন্য অনেক উপকাারি। 

৪: আমলকির রস ঃ আমলকির রস আমাদের শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য  ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে খুুুুবই উপকারি।  এছাড়া ও আমলকি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।

৫: রক্ত শূন্যতা দূর করতে ঃ আমলকি রক্ত শূন্যতা দূর করতে ভালো কাজ করে। রক্ত পরিষ্ককার করতে সাহায্য করে। আমলকি রক্ত বিদ্ধি করতে ভালো কাজ করে। এবং রক্তের লোহিত কনিকার সংখ্যা বাড়ায়।

৬: গ্যাসটিক দূর করতে ঃ  এক গ্লাস পানির মধো আমলকির গুঁড়ো ও চিনি মিশিয়ে দিনে দুই বার খেতে পারেন। এবং গ্যাটিকের সমস্যা থেকে মুুুক্তি পাবেন।

৭: হজম ক্ষমতা বাড়াতে ঃ আমলকি রস কোষ্ঠকাঠিন ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া ও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে। এবং আমলকী লিভার ভালো রাখে।

৮: ত্বকের কালো দাগ দূর করতে ঃ প্রতিদিন সকালে আমলকির রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান। দেখবেন অল্প কিছুু দিনের মধো আপনার কালো দাগ দূর হবে। এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়তে সাহায্য করে।

৯: সর্দি কাশিতে আমলকীর গুরুত্ব ঃ আমলকিতে থাকে ভিটামিন ফ্লেভোনয়েড, ট্যানিন, এবং খনিজ পদার্থ। আমলকি খেলে সর্দি কাশি থেকে শুরু করে অ্যজমা, ব্রংকাইটটিসের মত শ্বাস প্রশ্বাস জনিত রোগ গুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমলকির রস মধু দিয়ে খেলে সর্দি কাশির প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

১০: বুচি বৃদ্ধি ঃ   খিদা বাড়ানোর জন্য আমলকি গুুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খান। আমলকির টক তেতো মুখে রুুুচি ও স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে।

১১: ভিটামিন সি কেন আমাদের জন্য গুরুত্বপূন ঃ  ভিটামিন সি ফ্রী রেডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুুুুক্ত রাখে। হাড়কে মজবুত করে। এবং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কে শক্তিশালী করে। এবং Leukocytes বা শ্বেত কনিকা উৎপাদান করে। ভিটামিন সি ছাড়া ও আমলকির রসে রয়েছে। আয়রন,  ক্যালসিয়াম, ফসফরাস।এই জন্য ভিটামিন সি আমদের প্রয়োজন।

১২: ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে ঃ যত দিন যাচ্ছে দেশে ক্যান্সার এর রুুুগি বাড়ছে। চিকিৎসকের মতে আমাদের আগামি ৩ থেকে ৪ বছরের মধো ১৭ লক্ষ। এসে পৌছাবে বলে ধারনা করা হয়েছে। ক্যান্সারের রুগি সংখা। আমলকিতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা শরীরের উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান বের করে দেয়। এবং ক্যান্সারের সেল যাতে জন্ন না হয়। সে দিকে খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে সুস্থ জীবনের পথ প্রস্থ হয়।

১৩: প্রতিদিন আমলকি খাওয়ার নিয়মঃপ্রতিদিন আমরা অনেকে ভিটামিন ট্যাবলেট খেয়ে থাকি। ভিটামিন ট্যাবলেট না খেয়ে। একটি করে আমরা আমলকি খেতে পারি। কিংবা আমলকির আচার এবং আরো খেতে পারি আমলকির মোরব্বা। বা আমলকির পাউডার ব্যবহার করতে পারি রান্নার কাজে। আমলকি হূদযন্ত্রের, ফুসফুস শক্তি শালী করে। এবং মস্তিষ্কের শক্তি বধন করতে সাহয্য করে।  আমলকির আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হূদযন্ত্রের দূরবলতা দূর করে। এই সামান্য আমলকি আপনার দেহের বিস্ময়কর করবে।এই জন্য আমাদের উচ্চিত আমলকি খাওয়া। 

আমলকি: মাঝারি আকারের বৃক্ষ। পাতা যৌগিক, উপপএ বিপরীত ভাবে বিন্যস্ত। ফুল ছোট, সবুজাভ হলুদ। ফল রসাল, মাংসল, সবুজ, গোলাকৃতি, মুুুুখরোচক ও উপাদেয়। মার্চ থেকে মে মাসে আমলকির ফুুল আসে। 

ব্যবহার্য অংশঃ ফল

ব্যবহারঃ আমলকি পাতার রস আমাশয় প্রতিষেধক এবং টনিক। ফল ভিটামিন সি সমৃৃদ্ধ এবং এিফলার একটি ফল। ফলের রস যকৃৃৎ, পেটের পীড়,  অজীর্ণতা, হজম ও কাশিতে বিষেশ উপকারী। আমলকির ফল এিফলার সাথে মিশিয়ে  ব্যবহার করলে রক্তহীনতা, জন্ডিস,  চর্মরোগ, ডায়বেটিস, চুল পড়া, প্রভৃতি রোগের উপশম হয়।

No comments