ডেঙ্গু প্রতিরোধ এর উপায়
ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ বেড়েছে।এক দিকে যখন মানুষ করণা মহামারীর সাথে যুদ্ধ করছে অন্যদিক থেকে আঘাত হেনেছে ডেঙ্গু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী (ডব্লিউএইচ ও) এর তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের মশা বাহিত রোগ সমূহের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাণঘাতী হলো ডেঙ্গু। এডিস মশার কারণে ছড়া ডেঙ্গু। মশা বাহিত এক প্রকার ভাইরাস জ্বর হচ্ছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু জ্বর বছরের মার্চ - এপ্রিল মাসে জ্বরের প্রকোপ দেখা যায় বেশি। সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর ব্রেকবোন ফিভার নামে পরিচিত। ফুলের টব, টায়ার, ডাবের খোসা, প্লাস্টিকের খালি বোতল, ছাদে জামা পানি ইত্যাদি কারণে এডিস মশার বংশ বিস্তার হয়। সাধারণত এডিস মশার কারণে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু। বিগত 50 বছরে ডেঙ্গু প্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে 30 গুন। প্রথমত বাংলাদেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় 2000 সালে। 5500 মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়।বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত 2019 সালে।2019 সালের সরকারি হিসাব অনুযায়ী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় এক লক্ষ এক হাজার 354 জন।এবং 2019 সালে 179 জন মারা যায় ডেঙ্গু রোগে। মূলত এডিস ইজিপ্টি (Aedes- aegypti) নাম একজাতের মশার কামড়ে থেকে ডেঙ্গু নামক রোগ হয়। চিকিৎসকদের মতে ডেঙ্গু জ্বরে, মাথা ব্যাথা, গায়ে রেস, ও বমির লক্ষণ দেখা যায়।বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বর হলে হার্ট কিডনি ও ব্রেনের আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে জ্বরের তাপমাত্রা অনেক বেশি 104 ডিগ্রি ফারেনহাইট। তবে শিশু বা তরুণ দের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর দেখা যায় একেবারে উপসর্গহীন। মানুষের শরীরে ideal platelet count per microliter of blood ১.৫ লাখ থেকে ৪.৫ লাখ। ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষের platelet count 1.00000 microliter of blood এর নিচে নেমে আসে সাথে শরীরের রেশ বমি বমির সাথে রক্ত শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
ডেঙ্গু এর সাধারণ লক্ষণঃ
১ঃ তীব্র জ্বর যা 104 ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে।
২ঃ হঠাৎ মাথা ব্যাথা শুরু হওয়া।
৩ঃ চোখ ওঠা বা তীব্র কনজাংটিভাইটিস হতে পারে ।
৪ঃ বমি ও বমিবমি ভাব হতে পারে।
৫ঃ শরীরের গিটে গিটে ব্যথা মাংসপেশিতে ব্যথা হতে পারে।
৬ঃ চোখের পেছনে ব্যথা হওয়া।
৭ঃ শরীরে লাল রেশ ওঠা।
১ঃক্লাসিকাল ডেঙ্গু ফিভারঃ একটা দুটো দশটা ভাইরাল ফেভার মতো ভয় না ফেলো ও সমস্যা নেই।
২ঃডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারঃ ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গুর সব কিছু থাকে রক্তনালীর লিকিং হয় বলে বাড়তি কিছু সমস্যা হয়। জ্বরের সঙ্গে যদি প্লাটিলেট কাউন্ট হয় এক লাখের কম হয় এবং হিমাটক্রিট ২০% ভেরিয়েশন হয় তবে যেটা ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বলা হয়।
★ডেঙ্গু প্রতিরোধঃ মশা নিধন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করতে হবে। এবং ঘর বাড়ির আশেপাশের ময়লা আবর্জনা,বজ্র , ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, মাটির পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, টিনের কৌটা,ডাবের খোসা যেসব পাত্রে পানি জমে থাকে তার তিন দিন পর পর অপসারণ করতে হবে। মশা মারতে গড়ে স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। সব সময় শরীর ঢেকে রাখা এবং ফুল হাতা কাপড় ও মোজা পরা যাতে মশা কামড়ে না দিতে পারে। দিনে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে।
★জনসচেতনতাঃ ডেঙ্গু ভাইরাস প্রতিরোধের কোনো ওষুধ নেই।এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধের কোন ভ্যাকসিন নেই। ৬-৭ দিন ডেঙ্গু রোগের অযৌক্তিক কোন কারণ নেই। ডেঙ্গু জ্বর হলে জ্বর নামিয়ে রাখুন। জনসচেতনতায় হবে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায়।
Toriqul Islam
ReplyDelete