গর্ভকালীন ও প্রসবের পর কোমর ব্যাথা হলে যা আমাদের করনীয়।










অন্তঃসত্বা নারীদের জন্য কোমর ব্যাথা কষ্ট কর। বিশেষ করে তৃতীয় ট্রাইসিস্টার বা গর্ভকালীন শেষ ভাগে এই সনস্যা বেশি দেখা যায়। কারন, আমাদের মরু দন্ডের লম্বার রিজন বা কোমরের অংশে সি আকৃতির কাভ থাকে। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের ভাষার লাম্বার লরডোটিক কাভ বলা হয়। এটি আমাদের কোমরের মুভমেন্ট বা নড়াচড়া করতে সাহায্য করে। গর্ভকালে বিশেষ করে শেষ তিন মাস যখন বাচ্চার ওজন ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। ফলে এই বাড়তি ওজন বহন করতে মায়ের মেরুদন্ডের কোমরের অংশের মাংসপেশি গুলোকে বেশি সক্রিয় থাকতে হয়। পাশাপাশি অন্তঃসত্বা যা পেটের বাড়তি ওজন বহন করে কিছুটা পেছনের  দিকে বাঁকা হয়ে যায়। এর ফলে কোমরের মাংসপেশি ও স্পাইনাল লিগামেন্ট গুলো দুর্বল হয়ে যায়। তখন ব্যাথা অনুভব হয়। যেহেতু এই সময় ব্যাথা নাশক ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। তাই সাধারনত মায়ের ব্যাথা সহ্য করতে থাকেন। কিন্তু প্রসব পরবতী সময়ে এই অতিরিক্ত সক্রিয় মাংস পেশি গুলো আরো বেশি শিথিল ও দুর্বল হয়ে পড়ে। এবং ব্যাথা আরো বেড়ে যায়। অনেকেই ধারণা করে থাকেন, সিজারিয়ান অপরাশনের জন্য ইনজেকশন পরবর্তী ব্যাথার জন্য দায়ী। কিন্তু তা পুরাপুরি ঠিক নয়। কোমরের মাংসপেশি লিগামেন্ট ও লাম্বার স্পাইনের স্বাভাবিক বক্রতা বেড়ে যাওয়ার ফলে এই ব্যাফর সৃষ্টি হয়। 

করনীয়ঃ গর্ভকালীন কোমর ব্যাথায় যেহেতু নাশক ওষুুধ ব্যাবহার করা যায় না। তাই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা কাজে লাগাতে হয়। এই ক্ষেএে সুপারফিশিয়াল থামোথেরাপির পাশাপাশি কিছু ফেরাপিউটিক ব্যায়াম করতে হবে। যমন, স্ট্যাটিক ব্যাক মাসল এক্সসার সাইজ, পেলভিক ব্রিজিং   এক্সরসাইজ ইত্যাদি। এগুলো গর্ভকালীন কোমরের মাংস পেশি শক্তি বজায় রাখে ও গর্ভকালীন কোমর ব্যাথা অনেকংশে কমায়। প্রসব পরবর্তী ফিজিওথেরাপি ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে কোমর  ও পেটের শিথল হয়ে যাওয়া মাংশ পেশি গুলোর শক্তিি বাড়ানোর জন্য কিছু থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ বা ব্যায়ম আছে। যেমল পেলভিক ফোর এক্সারসাইজ ব্যাক মাাসল স্টেংদেনিং এক্সারসাইজ অ্যাবডোমিনাল এক্সারসাইজ ইত্যাদি।  ফিজিওথেরাপি  বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়ম করলে প্রসব পরবতী কোমর ব্যাথা থেকে মুক্তি থাকা সম্ভব।

No comments