তেতুলের উপকারিতা।

 

তেতুলের উপকারিতা।

তামরি হিন বা  ভারতের খেজুর বলে আমরা অনেকেই চিনি না।  কিন্তু তেতুল বললে সবাই চিনি। তেতুলে পুষ্টি গুণ রয়েছে সব বয়সের মানুষদের জন্য। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলেছেন তেঁতুলের সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে  রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।  ধুতরা কচু এবং অ্যালকোহলের বিষাক্ততা নিরাময় তেঁতুলের শরবত বেশ কার্যকরী। হঠাৎ জিভে জল আনা ফাল তেতুল। উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের জন্য কাজ করে তেতুল।  তেঁতুল কে বলা হয় হার্টের  টনিক। গবেষণায় দেখা গেছে যে তেঁতুলে রয়েছে। বিটা ক্যারোটিন, থাইমিন, রিবোপ্লাবিন,  এসকরবিক এসিড, পলিকুইনোনের মত ভিটামিন রয়েছে তেতুলে। তেতুলে আরো রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক, ফসফরাস, এবং আয়রনের মতো  খনিজ উপাদান।এছাড়া ও ফ্ল্যাভিনয়েডস ও পলিফেনোলের মত উপাদান রয়েছে তেতুল। এবং হামদর্দ ইউনানী এলোপ্যাথিক ঔষধের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় তেতুল পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলেছেন। প্রতিদিন তেঁতুলের সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে কোলেস্টেরল মাত্রা কমে।  নিয়মিত তেতুল খেলে প্যারালাইসিস রোগীর অনুভূতি ফিরে আসে। আর স্কেলেটল ফ্লুরোসিস রোগ নিরাময় ও কার্যকারী তেতুল। তেতুলের গাছের ছাল অ্যান্টি সেপ্টিক এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল তাই ক্ষত সারাতে সাহায্য করে তেতুল।  এবং হাঁপানি চোখ জ্বালা পোড়া ও দাঁত ব্যথা সারিয়ে তুলতে তেতুল। তেতুলের এসকরবিক এসিড ও আয়র দেহের বিভিন্ন কোষে  পরিবহন করে। যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।  তেঁতুলে রয়েছে টারটারিক এসিড থাকায় খাবার হজম করতে সাহায্য করে।  এবং তেতুল এসিডিটির সমস্যা খেতে হবে নিয়ম মেনে এমনটাই বলছেন পুষ্টি বিদরা।  আমরা অনেকে বলি বা জানি তেঁতুল আমাদের শরীরের রক্ত পানি করে দেয়।  এটা একদম ভুল পুষ্টিবিদদের মতে।  একমাত্র নারকেল ফল ছাড়া অন্যান্য ফলের চেয়ে ৫ থেকে ২০ গুন বেশি আয়রন থাকে তেতুলে। এবং ক্যালসিয়াম আয়রন থাকার কারণে রক্ত স্বল্পতা দূর করা তেতুল। এবং তেতুল উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে ভারত, মেক্সিকো ও থাইল্যান্ড। আর বাংলাদেশের তেতুল উৎপাদন করা হয়। রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া ও গাজীপুরে তেতুল চাষ হয়। টক জাতীয় ফল তেঁতুল বসন্ত-কালের ফল হয়। কিন্তু তেতুল সারা বছরই পাওয়া যায়। 

No comments