জামের স্বাস্থ্য উপকারিতা
![]() |
টক-মিষ্টি স্বাদের মধু মাসের ছোট ফল জাম। অন্যান্য মৌসুমী ফলের তুলনায় জাম এর স্থায়িত্ব কাল কম হলে ও পুষ্টি কর ফল হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। গবেষণা বলছে ভিটামিন সি' জিংক, কপার, ফাইবার ও স্যালিসাইলেট সহ অসংখ্য উপাদান রয়েছে জামে। এছাড়া ও ফাইটো কেমিক্যাল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সর্দি কাশি থেকে রক্ষা করে। কেউ বলে জাম্বুল আবার কেউ বা জাম্বু যে নামেই ডাকা হোক না কেন। ছোট জামের আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। বর্তমানে উৎপাদনে শীর্ষে পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলংকা ও ইন্দোনেশিয়া। আর বাংলাদেশের মধ্যে উৎপাদন হয় কুমিল্লা-,নোয়াখালী, গাজীপুর,সিলেট, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর , টাঙ্গাইল জেলা উপাদান হচ্ছে বিস্তার পরিসরে। গ্রীষ্মের দুপুরে প্রশান্তি এনে দেয় হালকা লবন মরিচ মাখানো টক স্বাদের ফলটির ভর্তা । আর জুস হিসেবে ও বক্তারা পাতে আনে নতুন স্বাদ। গবেষণায় বলছে বিটা ক্যারোটিন, থায়ামিন, থায়ামিন, রিবোপ্লাবিন, এসকরবিক এসিড, পাইরিডক্সিন এর মত ভিটামিন মেলা জমে। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও আয়রনের মত খনিজ উপাদান ছাড়া ও ফ্ল্যাভিনয়েডস ও ফাইবারের মত উপাদান রয়েছে জামে। জমে থাকা গ্লুকোজ,ফুকটোজ, ডেকটোজ কর্ম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আর হিমোগ্লোবিনের মাএা বাড়াতে সাহায্য করে জাম। জামে anti inflammatory উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধ কার্যকারি। আর ফাইবার হজমে সহায়তা করে। রোধ করে কষ্ঠকাঠিন। পুষ্টিবিদরা বলছে এসিডিটির সমস্যায় নিয়ম মেনে খেতে হবে জাম।
★ জামের উপকারিতা।
★ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
★ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
★ পরিপাকে সাহায্য করে।
★ ইনফেকশন ভালো করে।
★ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
★ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
★ ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
১: জামের উপকারিতাঃ জামে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, ভিটামিন সি। এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি রয়েছে। এবং জমে রয়েছে ক্যালোরি অত্যন্ত কম।
২: রক্তস্বল্পতা দূর করতেঃ যারা রক্তস্বল্পতায় ভোগেন তাদের জন্য জামা অত্যন্ত উপকারী। ইমিউনিটি বৃদ্ধি এবং আন্টি এজিংয়ের কাজে লাগে জাম।
৩: কাজ করার শক্তি যোগায়ঃ জামে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, থায়ামিন, থায়ামিন, রিবোপ্লাবিন, এসকরবিক এসিড, পাইরিডক্সিন এর মত ভিটামিন মেলা জমে। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও আয়রনের মত খনিজ উপাদান ছাড়া ও ফ্ল্যাভিনয়েডস ও ফাইবারের মত উপাদান রয়েছে জামে। জমে থাকা গ্লুকোজ,ফুকটোজ, ডেকটোজ কর্ম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
৪: হজম শক্তি বিদ্ধতেঃ জামে জলের পরিমান অনেক। হজম শক্তি বৃদ্ধি ও পেটের ব্যাথার উপশম হিসেবে দারুন কাজ করবে জাম।
৫: কোলেস্টেরলের মাএা কমায়ঃ জাম রক্তের কোলেস্টরলের মাএ কমিয়ে হৃদপিণ্ড ভালো রাখে। এছাড়া ও শরীরের দূষিত কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে। দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। পুষ্টিবিদদের মতে জাম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৬: ব্যাকটেরিয়া দূর করতেঃ মানুুষের মুখের লালার মধ্যে এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ উপাদিত হয়। যা হতে ব্যাকটেরিয়া জন্ন নেয়। এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া হতে মুখের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর জাম মুখের ভেতর উৎপাদিত ক্যান্সার সহায়ক ব্যাকটেরিয়া থাকে দেহকে রক্ষা করে। মুখের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জাম।

Post a Comment