কিসমিসের সাস্থ্য গুনাগুন ও পুষ্টি উপকারিতা

কিসমিসের গুনাগুন ও পুষ্টি উপকারিতা






আঙ্গুরের শুকনো রূপ কিসমিস। গবেষণা বলছে সোনালী বাদামি রংয়ের চুপশানু বাজায়া এই ফলটি খুবই শক্তি দায়ক। এতে আছে ভিটামিন বি ৬ বা পাইরিডক্সিন , আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম । পুষ্টি জ্ঞানীরা বলছেন এতে থাকা বরুণ কাজ করে। শিশুর মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। আঙ্গুর ফলের শুকনো হিসেবে পরিচিত কিসমিস। মিষ্টি খাবারের স্বাদ এবং সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য যে ব্যবহার হচ্ছে প্রতিনিয়তই। অংকুরে থাকা ফ্রুক্টোজ গুলো সূর্যের তাপে জমাট বেঁধে পরিণত হয় কিসমিস। আর এই ভাবে তৈরি করা হয় মিষ্টি স্বাদের কিসমিস। সুদু খাবারের রূপ ভারতে নয়। ছোট কিসমিসের জনপ্রিয়তা আছে পুষ্টিগুণের কারনে ও। কিসমিসে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরের অতিরিক্ত শক্তির যোগান দিতে ও কাজ করে গবেষণায় বলা হয়েছে। ভিটামিন বি ৬ বা পাইরিডক্সিন ছাড়া ও কিসমিসে আছে আয়রন ,পটাশিয়াম ,ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার । আছে বরুণ যেটি কাজ করে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে। আরো রয়েছে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস যেটি কাজ করে জ্বর ও ঠান্ডা জনিত রোগ নিয়ন্ত্রণে। রক্তস্বল্পতা কমাতেও কাজ করে কিসমিস। এতে থাকা আয়রন, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে কাজ করে অ্যানিমিয়া নিয়ন্ত্রণে। হৃদপিণ্ড ভালো রেখে কোলেস্টেরল ও নিয়ন্ত্রণ করে কিসমিস। প্রাকৃতিক চিনি থাকায় নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ। নিচে রয়েছে ফাইবার যেটি কাজ করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে। চালাও এসিডিটি পেটের পাপা জনিত রোগে ও কাজ করে কিসমিস। দাঁতের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা থেকে সুরক্ষা প্রদান করে কিসমিস। কিসমিসে ফলিকনিক অ্যাসিড বা পলি ফেলন থাকে ‌। কিসমিসে ক্যাটেসিন নামক উপাদান থাকে যা কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে। মিস আমাদের শরীরের ফ্রিরেডিকেল কোষ গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা রোধ কিসমিসেরকরতে কিসমিস খুবই কার্যকরী। কিসমিস এলার্জি জনিত সমস্যা খেতে হবে নিয়ম মেনে পরামর্শ পুষ্টি বিজ্ঞানীদের। প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে আছে ৩০০.৪ কিলোক্যালর শক্তি। ডায়েটারি ফাইবার ১.১ গ্রাম। কার্বোহাইড্রেট ৭৪.৬ গ্রাম। প্রোটিন ১.৮ গ্রাম। পেট ০.০৩ গ্রাম। সোডিয়াম ২০ .৪ মিলিগ্রাম। ক্যালসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম। পটাশিয়াম ৭৮ মিলিগ্রাম। আয়রন ৭.৭ মিলিগ্রাম।



 ১: কিসমিস সুস্থ উপায় ওজন বাড়াতে সাহায্য করে: কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ , গ্লুকোজ ও পটেনশিয়াল এনার্জি ভরপুর এই কিসমিস।


 ২: মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে: মস্তিষ্কের জন্য থাকা বরুণ মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। বরুণ দেন বাড়াতে সহায়ক। ফলে কাজ মনোযোগ বাড়ে। এটি বাচ্চাদের পড়াশোনা ও মনোযোগী করে তুলতে পারে।


৩: জ্বর সারাতে: কিসমিস রয়েছে ফেনোল ফাইটল নিউট্রিয়েন্ট। যারা জীবাণুনাশক শক্তি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাল ইনফেকশনের জন্য হওয়া জ্বর কমাতে সাহায্য করে।


৪: আয়রনের ঘাটতি পূরণ: শরীরের আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তের লাল কণিকা পরিমাণ বাড়ায় কিসমিস। কিন্তু শুকনো কিসমিস খাওয়ার বদলে বিয়ে খেলি উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে ‌। প্রতিদিন কিসমিস ভেজানো পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য এসিডিটি মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই ।


৫: ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে: কিসমিসে কেটিসিন নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের ভেসে বেড়ানো ফ্রিরেডিকেল গুলি কে ধ্বংস করে। শরীরের ফ্রিরেডিকেল গুলি ক্যান্সার সেলারের সতেজ পূর্ত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এবং মেটাটাস সিচোস ও সাহায্য করে। কিসমিস প্রতিদিন খাবারের মধ্যে রাখলে শরীরের ক্যাটসিনের মতো শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বা যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত তাদের


৬: চোখের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী: কিসমিস দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়। কিসমিস রয়েছে ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন । চোখের জন্য আদর্শ উপকারী হল কিসমিস। কিসমিসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রেডিক্যাল এর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। এবং চোখের দৃষ্টি ভালো রাখে কিসমিস ‌‌।

 

৭: ঘুম ভালো হয়: ঘুম ভালো না হলে শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিক অসুস্থতা ও দেখা দিতে পারে। এই ক্ষেত্রে মানসিক অবস্বাদ ও দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করেে কিসমিস। কিসমিস এর মধ্যে যেে পরিমাণে আয়রন রয়েছে তা ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে।


 ৮:অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ: কিসমিস প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। যা রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়া কমাতেে সাহায্য করে। কিসমিসে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অন্তর্গত বেশি কিছুুুু ভিটামিন পাওয়া যায়। রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। কিসমিসে কপারো থাকে যা রেড ব্লাড সেল তৈরি করে।


৯: কিসমিস পাচন তন্ত্রের জন্য উপকারী: কিসমিস পাচন তন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিসমিস উপস্থিত পাইবার দেহের বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে। এবং হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।


১০: প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: মে কিসমিসে ভিটামিন এবং খনিজ গুলির সাথে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট  এবং পলিফেনোল গুলির মতো অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এগুলো আমাদের  ফ্রীরেডিক্যাল গুলির সাথে লড়াই করতে সাহায্য করো। এবং কিসমিস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে। কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। শরীরের থাকা উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ বাড়ার প্রধান কারণ। কিসমিস শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। শরীরের পরিপাক প্রক্রিয়া দ্রুত সাহায্য করে। এতে করে খাবার দ্রুত হজম হয়। এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করে কিসমিস।


1 comment: